শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৌরসভার নিয়ন্ত্রনাধীন রোড লাইট সার্ভিস নিয়ে এলাকায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে লাইট থাকলেও তা জ্বলছে না। ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন ওই এলাকা গুলোতে চোরের উপদ্রুপ বেড়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে পৌরসভায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। অন্ধকারের কারনে মাদকসেবীদের যেমন সুবিধা হয়েছে,তেমনি সুবিধা হয়েছে অন্যান্য অপরাধ চক্রের সদস্যদের।তবে অসুবিধায় পড়েছে, কোমলতি শিক্ষার্থীরা।
তাদের অনেকেই পৌরশহরের বিভিন্ন শিক্ষকদের বাসা-বাড়ী থেকে কোচিং কিংবা প্রাইভেট পড়ে রাতে গন্তব্যে ফিরতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে। তাদের অধিকাংশের অভিভাবকরা বিপদের আশংকায় প্রাইভেট কিংবা কোচিং থেকে তাদের সন্তানদের বিরত রাখছেন। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট গুলোতে রোড লাইট না থাকায় ওই এলাকায় স্বাভাবিক চলাচলেও সমস্যার সন্মুখীন হচ্ছে মানুষ।
এসব এলাকার মানুষ স্থানীয় কাউন্সিলরদের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পাচ্ছে না বলে তারা অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে পৌরশহরের ২ নং ওয়ার্ডের অধিবাসী মো.মেজবাহ্উদ্দিন তপন জানান, তাদের প্রতিষ্ঠিত ’আনোয়ার-উল-ইসলাম মিয়া জুনিয়র একাডেমী’র সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁিট রয়েছে। এখানে দীর্ঘদিন ধরে লাইট জ্বলছে না। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সন্ধ্যায় পড়াশোনা করতে এসে বিপাকে পড়ছেন। এর আগে স্থানীয় কাউন্সিল’রকে বলার পর সে লাইটের ব্যবস্থা করলেও পরে কেটে যায়।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন তদারকি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে পুনরায় এলাকাটি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন। জগন্নাথ আখড়াবাড়ী এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সেন জানান, তাদের বাড়ী সংলগ্ন জগন্নাথ মন্দির অবস্থিত। মন্দিরের সাথেই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। অনেক দিন ধরে ওই খুঁটির সাথে’র লাইটটি নষ্ট হয়ে রয়েছে। কেউই দেখছে না বিষয়টি। কলাপাড়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো.হুমায়ুন কবির জানান, জুন মাসের পরে বাল্ভ ক্রয় করা হয়নি বলে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তবে দু’শতাধিক বাল্ভ ইতিমধ্যে ক্রয় করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার ) থেকে কাজ শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply